রাত জেগেছিলো ঘরনী যে তার
রাতের ট্রেনের সময় যে পার
ঢুলুঢুলু চোখ কচি মেয়েটার
বাবা যে আসবে তার।
নিয়ম করে প্রতি শনিবার
নিয়ে আসে বাবা কত উপহার
মুড়ির মোয়া চিড়ের নারু বাদাম চাকতি তার।
মায়ের জন্য আনে বাবা টাকা
সংসার চালাবার।
শেষ ট্রেন টার বাঁশী টি শুনে
দরজা য় এসে তৃষিত নয়নে
ব্যাকুল খোঁজে চোখদুটি শুধু
কোথায় যে সুজন তার।
বারে বারে মেয়ে জেরা করে যায়
আর কত বলো থাকি অপেক্ষায়?
মাগো আমার ঘুম পেয়ে যায়
আসবে কি বাবা আজ?
চেয়েছিলাম এইবার যেনো চকোলেট আনে
নীলেতে মোড়ানো,
ঐযে ওরা প্রতিদিন খায়
আমি তো পাইনা তা কোনদিনও
বাবা বলেছিলো এবারে সত্যি
আনবে চকোলেট আমার।
বাইরে বৃষ্টি পরে ক্রমাগত
মায়ের চোখে উৎসুক তত
ঢুলুঢুলু চোখে জেগে আছে মেয়ে
ঘুম নেই চোখে তার।
ঝাপটা হাওয়ায় দোর খুলে যায়
আকাশে আলো চমকিয়ে চায়
ফিরলো না যে বাবা তার হায়
চিন্তায় সারা রাত কেটে যায়
ভোরের বেলা খবর যে আসে
দেখবে তো চলো কার লাশ ভাসে
মেয়ে কে নিয়েই ছুটছে ঘরনী
কাল রাতে যে মানুষ ফেরেনি
ছোট্ট মেয়েই সনাক্ত করে
ওই টাই বাবা তার
কেঁদে কেঁদে দেখো ঐ ভিজে গেছে
চকোলেট উপহার।
এই বারে সে প্রথম পেলো
শেষ চকোলেট স্বাদ।
মেয়ের কান্না ভেজা চকোলেট
মিলেমিশে একাক্কার।
Monday, 27 February 2017
কবিতা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment