Tuesday, 28 February 2017
অন্তর
অন্তর
কি হবে সারা রাত সাঁতার কেটে
চ়াঁদের পাহাড় ছুঁতে তো চাইনা আমি।
শুধু চাই দেখুক অন্তর্যামি
কোন এক কামুক পুরুষ হয়তো একলাটিরাত জাগে
নখের আঁচরে ক্ষতবিক্ষত করে নিজের পুং সত্তা।
জীর্ন দেয়াল জুরে খোঁজে মৃত প্রেমিকার শরীর।
চোখের কোনে জলের দারিদ্রতা।
কান্নারা চুপ করে থাকে ভয় পেয়ে।
নির্জন রাত্রির কোল জুরে ঘুরে বেড়ায় অবিশ্বাসী প্রেমিক পুরুষ।
একলাটি মৃত্যুকে আহ্বান করেও পায়না শান্তি সে।
এ ভাবেই প্রতি রাত কেটে যায় তার নিজের অবিশ্বাসী বিবেকের সাথে।
শুধু অলক্ষ্যে বিদ্রুপ করে যায় অশরীরী প্রেমিকার আত্মা।
টুটুল চ্যাটার্জী
Monday, 27 February 2017
কবিতা
রাত জেগেছিলো ঘরনী যে তার
রাতের ট্রেনের সময় যে পার
ঢুলুঢুলু চোখ কচি মেয়েটার
বাবা যে আসবে তার।
নিয়ম করে প্রতি শনিবার
নিয়ে আসে বাবা কত উপহার
মুড়ির মোয়া চিড়ের নারু বাদাম চাকতি তার।
মায়ের জন্য আনে বাবা টাকা
সংসার চালাবার।
শেষ ট্রেন টার বাঁশী টি শুনে
দরজা য় এসে তৃষিত নয়নে
ব্যাকুল খোঁজে চোখদুটি শুধু
কোথায় যে সুজন তার।
বারে বারে মেয়ে জেরা করে যায়
আর কত বলো থাকি অপেক্ষায়?
মাগো আমার ঘুম পেয়ে যায়
আসবে কি বাবা আজ?
চেয়েছিলাম এইবার যেনো চকোলেট আনে
নীলেতে মোড়ানো,
ঐযে ওরা প্রতিদিন খায়
আমি তো পাইনা তা কোনদিনও
বাবা বলেছিলো এবারে সত্যি
আনবে চকোলেট আমার।
বাইরে বৃষ্টি পরে ক্রমাগত
মায়ের চোখে উৎসুক তত
ঢুলুঢুলু চোখে জেগে আছে মেয়ে
ঘুম নেই চোখে তার।
ঝাপটা হাওয়ায় দোর খুলে যায়
আকাশে আলো চমকিয়ে চায়
ফিরলো না যে বাবা তার হায়
চিন্তায় সারা রাত কেটে যায়
ভোরের বেলা খবর যে আসে
দেখবে তো চলো কার লাশ ভাসে
মেয়ে কে নিয়েই ছুটছে ঘরনী
কাল রাতে যে মানুষ ফেরেনি
ছোট্ট মেয়েই সনাক্ত করে
ওই টাই বাবা তার
কেঁদে কেঁদে দেখো ঐ ভিজে গেছে
চকোলেট উপহার।
এই বারে সে প্রথম পেলো
শেষ চকোলেট স্বাদ।
মেয়ের কান্না ভেজা চকোলেট
মিলেমিশে একাক্কার।
Sunday, 26 February 2017
কবিতা
Saturday, 25 February 2017
টুটুল চ্যাটার্জী(শিউলি)
প্রত্যাখ্যাত হতে হতেও ফিরে যাচ্ছি না
আছে কোন সুপ্ত প্রত্যাশা?
অন্ধকারের পরেও আসে আলো
এই বিশ্বাসে,
সব ই কি হারাতে হবে শেষে?
রূঢ় শব্দ রা বারেবারে আছড়ে পরে মাটিতে
আঘাত করে যায় মাথার কোষে কোষে।
কুড়িয়ে নিয়ে সেই বাসি শব্দ গুলো সঞ্চয় করি
ভবিষ্যতে ফিরেয়ে দেবোই এই শব্দগুলো পর্যাপ্ত সুদে।
অলিখিত এক চুক্তি করি নিজের সত্তা র সাথে
উত্তপ্ত চাদরে ঢেকে রেখেছি নিজ অস্তিত্বকে
পরম যত্নে লালন করছি তাকে
মাঝে মাঝে নাড়াচাড়া করে দেখি
টিঁকে আছে নাকি!
মাথাকে বাঁচিয়ে রাখি নিরাপদ দূরত্বে
মরচে ধরা, ঘুন ধরা সমাজে হবে যে লড়তে
তাই আত্মহত্যা থেকে বিরত থাকি
বেঁচে থেকে দেখে যেতে চাই
চালিয়ে যেতে চাই আবহমান ধরে চলা অস্তিত্বর লড়াই
দেখি কেড়ে নিতে পারি কি না ওদের হাত থেকে বাঁচার চাবি।
Thursday, 23 February 2017
কবিতা
রাতের জোনাকীরা চলে গেলে
ভোরের প্রজাপতি আসে
তারা চাঁদ ঢেকে গেলে
প্রভাত দেখো হাসে
কিছুই হয় না গো শেষ
সকলের থাকে কিছু রেশ ।
এই আছে এই নেই
এ খেলার শেষ নেই,
ভাঙ্গা গড়া মিলেমিশে
পাশাপাশি বসে,
আমাদের সুখ দুখ
সব অংক কষে ।
জীবন জটিল নয়
সোজা পথে জেনো
খোলা মনে বসে ঐ
আকাশ টাকে চেনো ।
দেখো সেখানে ও থাকে
মেঘের ঘনঘটা
আবার স্বচ্ছ হয়
মেঘ সব কেটে যায়
নীল আকাশ পাঠায় যে
ভোরের বারতা ।।।টু টু ল
Wednesday, 22 February 2017
Hello Friends ....Attention please...
Watch your Facebook account. Some people have discovered a new trick, they are taking pictures from your profile pictures and using your name, they will create a new profile on Facebook. Then they will ask your friends to add them. your friends will think that it's you, and will accept your friend invites. From that, they can write and publish what they want, using your name. Please, DO NOT ACCEPT a new request from me. I DO NOT have a new profile or account! Copy this message on your wall, so everyone will be informed. Thanks. Copy and paste (do not share)
Tuesday, 21 February 2017
কবিতা
কোজাগরীর রাত
শূন্যে ঝুলছে হলুদ রঙের চাঁদ
চারিদিকে শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি
আমি ঘরে বসে দেখছি শুধু ঝড়।
অনেকদিন পর।
ডাকবাক্সে চিঠি এলো আজ
ঝেড়ে ফেলে সব সহবত লাজ
হামলে পরে নিয়ে এলাম ঘরে
তারপরে,
ঝড় ঢুকলো আমার দোরে
তোড়জোড় করে
এলোমেলো টুকরো কিছু কথা
অবিরত ধাক্কা মারে মাথার চিলেকোঠায়
ঘরে ঘরে তখনও আরতি ঘন্টা
আজ কোজাগরীর রাত
আমার জানলায় তখনও ভাসছে পূর্নিমার চাঁদ।
তখনও হাসছে চাঁদ।
একুশে ফেব্রুয়ারী
পোস্টটি সংগ্রহীত ..
২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২। বাংলা ৮ ফাল্গুন, ১৩৫৯। বৃহস্পতিবার। সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ কর্তৃক প্রস্তাবিত হরতাল প্রত্যাহার করায় ঢাকায় ২১ শে ফেব্রুয়ারি দিনটি শুরু হয়েছিল স্বাভাবিকভাবেই।
এর আগের দিন বুধবার সন্ধ্যায় (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঘোষণা আসে পরদিন অর্থাৎ ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ খবর শুনে ছাত্র নেতারা হতাশ হয়ে পড়েন এবং হরতাল বাতিল ও ১৪৪ ধারা না ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন। রাত ১০টার দিকে এ সিদ্ধান্তের সংবাদ মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়।
তবে একই সময় সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ‘কর্মপরিষদের’ সদস্য নন এমন কয়েকজন নেতাকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, রাতেই তৎকালীন ঢাকা হলের পুকুরের পূর্বপাড়ের সিঁড়িতে জরুরি গোপন বৈঠক হবে।
রাত ১২টায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন: গাজীউল হক (আইনজীবী), হাবীবুর রহমান (বিচারপতি), মোহাম্মদ সুলতানা, এম আর আখতার মুকুল, জিল্লুর রহমান, আব্দুল মোমিন, এস এ বারী এটি, সৈয়দ কামরুদ্দীন হোসেইন শহুদ, আনোয়ারুল হক খান, মঞ্জুর হোসেন ও আনোয়ার হোসেন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় পরের দিন আমতলায় সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন গাজীউল হক। যদি তিনি গ্রেপ্তার হন তবে সভাপতি হবেন এম আর আখতার মুকুল এবং তাকেও যদি গ্রেপ্তার করা হয় তবে সভাপতিত্ব করবেন কামরুদ্দীন শহুদ।
একমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছাড়া ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় সময়মতোই যানবাহন চালু হওয়া ছাড়াও দোকানপাট আর অফিস-আদালতগুলো কর্মচঞ্চল হয়ে উঠল। শুধু টাউন-টু-এ সার্ভিসের বাসগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো ভবনের সম্মুখ দিয়ে চলাচল বন্ধ করে একটা বিকল্প রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছিলো।
আর এখন যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়াম সেই মাঠটিতে সকাল থেকে কয়েক সহস্র পুলিশ আস্তানা গাড়ল। সঙ্গে পুলিশের 'স্পেশাল টিয়ার গ্যাস স্কোয়াড।
বেলা সাড়ে ৮টা নাগাদ ঢাকার শহরতলি থেকে স্কুলের ছাত্রদের ছোট ছোট মিছিল এসে জমায়েত হতে শুরু করল বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে চত্বরে। সকাল ৯টা নাগাদ এলো বিভিন্ন কলেজের ছাত্র শোভাযাত্রা।
বেলা সাড়ে ৯টা নাগাদ বিভিন্ন পথ ধরে মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের হাজার হাজার ছাত্র বন্যার পানির মতো হাজির হলো সভাস্থলে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা দাঁড়াল প্রায় ১০ হাজারের মতো। চারদিকে মুহুর্মুহু শুধু 'রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই' স্লােগানে মুখরিত। এদিকে কলাভবনের সামনে রাস্তায় দলে দলে সশস্ত্র পুলিশ টহল দিতে শুরু করেছে। আর টিয়ার গ্যাস স্কোয়াডগুলো 'পজিশন' নিয়ে হুকুমের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে।
এমনি এক উত্তেজনাকর পরিবেশের পূর্ব সিদ্ধান্ত মোতাবেক এমআর আখতার মুকুলের প্রস্তাব ক্রমে এবং সৈয়দ কমরুদ্দিন শহুদের সমর্থনে টেবিলের ওপর দাঁড়িয়ে গাজিউল হক সভাপতি হিসেবে আগের মতোই এই ঐতিহাসিক ছাত্রসভার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রথমে সর্বদলীয় কর্মপরিষদের পক্ষে ১৪৪ ধারা না ভাঙার আহবান জানিয়ে বক্তৃতা করলেন শামসুল হক সাহেব।
অবশ্য সভাস্থল ত্যাগ করার সময় তিনি ব্যক্তিগতভাবে জানালেন আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের কথা। এ সময় প্রথম সংবাদ এসে পৌঁছল যে, লালবাগ এলাকায় পুলিশ একটা স্কুলের ছাত্র মিছিলের ওপর লাঠিচার্জ করা ছাড়াও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। ফলে উত্তেজনা তখন তুঙ্গে।
এ অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহক্ষায়ক আবদুল মতিন (পরবর্তীতে উগ্র বামপন্থী নেতা) এবং সভাপতি গাজিউল হক উভয়েই ১৪৪ ধারা ভাঙার পক্ষে বক্তৃতা করলেন। এদের বক্তব্যই প্রস্তাবাকারে পাস হয়ে যায়।
চতুর্দিকে গগণবিদারী সস্নোগান উচ্চারিত হলো, '১৪৪ ধারা মানি না, মানি না।' তখন সাধারণ ছাত্রদের মনমানসিকতায় নেতারা হতভম্ব। এতসব হৈচৈয়ের মাঝেও সিলেটের আবদুস সামাদ আজাদ (বর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতা) কীভাবে ১৪৪ ধারা ভাঙা হবে তার প্রোগ্রাম বর্ণনা করলেন।
তিনি বললেন, একইসঙ্গে এই হাজার হাজার ছাত্র ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাস্তায় বেরোলে এক ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে। এরচেয়ে প্রতি দফায় রাস্তায় ১০ জন করে ছাত্রের মিছিল বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন 'প্রোক্টর' মুজাফ্ফর আহম্মদ চৌধুরী (বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভিসি) এ ব্যাপারে সমর্থন প্রদান করে কলা ভবনে লোহার গেট খুলে দেয়ার নির্দেশ দিলেন।
শুরু হলো ছাত্রদের 'দশজনী মিছিল।' প্রথম দলের নেতৃত্ব দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র হাবিবুর রহমান শেলী (পরবর্তীকালে বিচারপতি), দ্বিতীয় দলে আবদুস সামাদ আজাদ ও মরহুম ইব্রাহীম তাহা এবং তৃতীয় দলে আনোয়ারুল হক খান (পরবর্তীতে মুজিবনগর সরকারের তথ্য সচিব) এবং আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ খান (স্বাধীন বাংলাদেশের সাবেক মন্ত্রী ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত)।
এই 'দশজনী মিছিলে' যোগদান করে যারা গ্রেফতার হচ্ছিলেন, তাদের তালিকা প্রণয়ন করার দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ সুলতান (পরবর্তীতে বামপন্থী নেতা) এবং কাজী আজহার (সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব)। এমন সময় আকস্মিকভাবে পুলিশ মিছিলে লাঠিচার্জ ও অবিরাম কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করতে শুরু করে। কাঁদুনে গ্যসের ধোয়ায় ছেয়ে যায় চারিদিক।
ছাত্ররা দৌড়ে কলাভবনের পুকুরে এসে রুমাল ভিজিয়ে চোখ মুছে আবার মিছিলে যোগ দেন। এমনি সময়ে একটি টিয়ারশেল সরাসরি গাজীউল হকের বুকে এসে আঘাত করলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সে সময় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দোতলায় মেয়েদের কমন রুমে রেখে আসা হয়। বেলা প্রায় ২টা পর্যন্ত কলা ভবন এলাকায় ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ চলতে থাকে।
তখন পর্যন্ত ঢাকার অন্যান্য স্থানে সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একদিকে চলতে থাকে পুলিশের লাঠিচার্জ আর অন্যদিকে ছাত্রদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ। এ পরিস্থিতিতে ছাত্ররা যাতায়াতের সুবিধার জন্য কলা ভবন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মধ্যবর্তী দেয়াল ভেঙে দেয়। ফলে কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘর্ষের দিক পরিবর্তিত হয়। ছড়িয়ে পরে সংঘর্ষ চারিদিকে। এ সময় পুলিশের বেপরোয়া লাঠিচার্জে আহত হন বহু ছাত্র।
এমনই অবস্থায় কোনো রকম পূর্ব সংকেত ছাড়াই একদল সশস্ত্র পুলিশ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোরেশির নির্দেশে দৌঁড়ে এসে জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়ে ‘ওয়ালী ফায়ার’ করে। চারিদিকে টিয়ার গ্যাসের ধোঁয়ার ভেতর কিছু বুঝে ওঠার আগেই কিছু তাজাপ্রাণ মাটিতে লুটিয়ে পড়ল, অনেকে আহত হয়, বাকিরা বিপ্তি হয়ে পড়ে। তখন সময় বিকেল ৩টা ১০ মিনিট। আর দিনটি ২১ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার।
একটি লাশের মাথার অর্ধেকটাই গুলিতে উড়ে যায়। পরে জানা যায়, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আবুল বরকত। সে সময় পর্যন্ত ঘটনাস্থলে নিহতের সংখ্যা ছিল ২ এবং আহত ৯৬। সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে মারা যান আরও দুজন। এরা হলেন শহীদ জব্বার ও রফিক উদ্দিন।
২১ ফেব্রুয়ারির গুলিবর্ষণে শহীদ হওয়া ৪ জনের মধ্যে তিনজন ছাত্র। এরা হলেন আবুল বরকত, জব্বার ও রফিক উদ্দিন। অপরজন শহীদ সালাম যিনি বাদামতলীর একটি প্রেসের কর্মচারী ছিলেন। ওই দিন এছাড়া রাস্তায় পড়ে থাকা আরও কিছু লাশ পুলিশ দ্রুত ট্রাকে করে নিয়ে যায়। যাদের পরিচয় আর জানা যায়নি। সেই থেকে বাঙালি জনগণের ভাষা আন্দোলনের মর্মন্তুদ ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে ২১ শে ফেব্রুয়ারি।
তথ্যসূত্র : এমআর আখতার মুকুল রচিত ‘একুশের দলিল’
