Saturday, 20 August 2016

Facebook

বদল
প্রতিটি নাগরিক জনপথে
প্রতিটি নাগরিক আড্ডায়
প্রতিটি নাগরিক দেওয়ালে
তুমি ছিলে তুমি আছ তুমি থাকবে ।
প্রতিদিন প্রতিটি নাগরিক জানবে
তুমি তাদের পাশে আছো।
তুমি তাদের আশ্বাস দেবে,
বিশ্বাস দেবে, গনতন্ত্রের, বোধের,
বিকাশের, বিশ্বাস দেবে মানবিক দায়িত্ব পালনের ।
প্রতিটি নাগরিক তোমায় বিশ্বাস করবে,
কখনো পাওয়া না পাওয়া র বিভেদ বুঝবে,
প্রতিবাদী অথবা নিশ্চুপ হবে।
তবু তুমি থাকবে, রংবদলে দল বদলে ।
জনপদে, আড্ডা তে, দেওয়ালে ।
বোঝাবে, বিভিন্ন রুপে, বিভিন্ন ভাষায়,
কিন্তু একদিন এভাবে চলতে চলতে
দেখবে, প্রতিটি নাগরিক নিজেদের আড্ডা,
জনমত, পথ, সব বদলে ফেলেছে।।।।।টু টু ল ।

Friday, 19 August 2016

মা

টুটুল চ্যাটার্জি

**********
জন্মদিনের পার্টি কিছুক্ষণ আগেই শেষ হয়েছে।
ঘরে ইতস্তত ছড়ানো কাপ পেল্ট, ডিস মদের বোতল গড়াগড়ি খাচ্ছে।
এখন এতো রাতে আর মৌমিতার ইচ্ছা করছে না ওগুলো গোছগাছ করতে
সকাল থেকে ধকল তো কম গেলো না।
এতো আয়োজন সব একা করা।
ছোটবেলায় মা সব সামলাতেন।
বাজার করা, তার পছন্দের রান্না করা, নিজের হাতে সারা দুপুর জেগে পায়েস বানানো সব।
সন্ধেবেলা তার স্কুলের বন্ধু রা আসতো।
মৌমিতার কিন্তু খাবারের থেকে গিফটের দিকেই মন টা বেশি থাকতো যদিও তার বাবা মা
এসবের দারুণ বিরোধী ছিলেন।
তবু ছোট্ট মৌমিতা তা মানতে পারতো না।
বড় রা অবশ্য তাকে পাওনা উপহার পরে পুশিযে দিতেন।
আজ মনে হয় সে সব দিন কত সুন্দর ছিলো।
আজকাল আর এই একঘেয়ে পার্টি গুলোতে তেমন মন লাগেনা তার তবু কলিগ দের জোডাজোডিতে করতেই হয়।
একটা বড় আই টি কোম্পানি তে আজ বছর 5 এক কাজ করছে মৌ,
সে যেনে গেছে এসব না করলে সে ব্যাক ডেটেড হযে যাবে।
হঠাৎ মনে পড়ে মৌ এর এই যাঃ সেই সন্ধে থেকে মা কে দোতলার একটা ঘরে চুপ করে বসে থাকতে বলে এসেছিলো কারন নীচের এত হই চই হল্লা মায়ের ভালো লাগবে না।
কিন্তু সে তো খেয়াল ই করেনি সন্ধের পর থেকে এতটা রাত হয়ে গেছে মায়ের খোঁজ নেওয়া হয়নি।
এই সব নানা হল্লোরের মধ্যে বেমালুম ভুলে গেছে সে।
কি করে ভুললো?
মাযের তো রাতের খাবারের সময় পেরিয়ে গেছে।
তাহলে মা এর তো শরীর খারাপ হবে এতক্ষনে হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে।
ছিঃ ছিঃ নিজের উপর খুব রাগ হলো মৌ এর।
দুরদার করে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে দেখলো মায়ের ঘরের দরজা ভেজানো ভিতরে আলো জ্বলছে।
আস্তে দরজা ঠেলতেই ভিতর থেকে মা বলে উঠলো 'আয কাছে আয'
সারাদিন খুব ধকল গেলো।
'না মা, আসলে আমার ও এসব ভালো লাগে না, কিন্তু '
' বুঝিরে সব বুঝি, তোদের এ সময় টাই খুব অস্থিরতার, এতে তোদের যত না দোষ তার থেকে বেশি দোষ আমাদের, যারা ছেলেমেয়েকে পয়সা রোজগারের জন্য বড় করেছি মানুষ করার জন্য নয়। '
কিন্তু মা তোমার তো খাওয়া হয়নি।
' না তা হয়নি তবে জন্মদিনের দিন নিজের মেয়েকে না খাইয়ে কি করে খাই বল? ''
'সেকি আমি তো অনেক কিছু খেলাম মা, নীচে প্রচুর আয়োজন হয়েছিলো। '
' জানি জানি, তবে কি জানিস, ওগুলো কিছুই জন্মদিনের আয়োজন নয়। '
ঐ ঢাকা দেওয়া খাবার টা নিয়ে আয
দেখ কি আছে।
টেবিলের উপর রাখা পাত্রের ঢাকনা সরিয়ে দেখলো মৌ এক বাটি পায়েস।
আঃ কি সুন্দর গন্ধ।
বাটি নিয়ে এলো মায়ের কাছে
মা একটা চামচ দিয়ে তুলে দিলো একচামচ পায়েস মৌ এর মুখে।
হাসি ফুটলো মায়ের মুখে বললো' এই বারে তোর জন্মদিন সার্থক হলো। '
কিন্তু মা এসব তুমি :
' কখন করলাম, তাই তো?
তুই তো আমায় চুপ করে বসে থাকতে বলে গেলি, ওরে মেয়ের জন্মদিনে মা কি পারে হাত গুটিয়ে চুপ করে বসে থাকতে।
ব্যাস, তোরা ওদিকে গান গল্পে মেতে গেলি অমনি আমি চুপচাপ পায়েস টা বানিয়ে ফেললাম।
তোকে কেমন চমকে দিলাম বল।
চোখ ছলছল করে মাকে জড়িয়ে ধরে মৌ বললো 'আমার জন্মদিন এই সার্থক হলো মা।'
মা ও হেসে মৌ কে জড়িয়ে নিলেন বুকে
ঠিক ছোট্ট বেলার মতো।

Sunday, 14 August 2016

নদীর মন

টুটুল  14 *8*2016

নদী টি স্বচ্ছ শান্ত বযে চলেছে তার অভিমুখে
কত কথা তার হৃদয়ের মাঝে রাখা অতি গোপনে
তার এই শান্ত নদীর কথা কেউ শুনতে পায় না
কেউ পায়
আকাশের দিকে চেয়ে থেকেও পৃথিবী
আকাশের প্রকৃত অর্থ বুঝতে পারে না হায়। আড়ালে কত ব্যাথা
কত নারী তার পাডে বসে কত অশ্রু ঝরিয়ে গেছে
স্নান করার ছলে ধুয়ে গেছে কত অভিমান
কত নারী আত্মঘাতী হলো বাঁচাতে সম্মান।
আত্মহননের পথ বেছে নিলো কত নির্যাতিতা
বহে গেলো কত অবাঞ্ছিত পশুপাখির লাস
মৃত পূতিগন্ধ ময, কত আবর্জনা
সইতে হলো এই নদীকে
তেমনি আবার কত প্রেমিক প্রেমিকা বসে এর তীরে
ছোট্ট ঢিল তুলে তরঙ্গ তুললো এর বুকে।
কত কবি এর পারে বসে লিখে নিলো কত কাব্য কথা।
কত চিত্রশিল্পী কত ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুললো এর রূপের মহিমা।
কত উদাসী পুরুষ এর কাছে দু দন্ড সময় কাটিয়ে গেলো।
মন চলে গেলো কোন সূদুরের পারে।
এই সব সুখ দুঃখ সংগী করে নদী চলে নিজের গন্তব্যে।
কাকে বলবে সে তার সুখ দুঃখ এর কথা।
সে মিলিত হবে সাগরে।
আশপাশের আরো অনেক নদী আরো কত কত অভিজ্ঞতা নিয়ে মিলিয়ে যাবে সাগরে।
কিন্তু নদীর অসহায় তার কথা বুঝবে না সাগর।
কত নারী কে আত্মহত্যা র থেকে বাঁচাতে পারেনি সে।
পারেনি আবর্জনা সরিয়ে নিজেকে পরিচ্ছন্ন করতে।
পারেনি অসহায় পুরুষের উদাসীনতায সংগ দিতে।
সব সহ্য করতে হয়েছে তাকে।
সাগর তো কিছু নেযনা সব ফিরিয়ে দেবার ক্ষমতা তার আছে।
নদীর ও ইচ্ছে করে সব নারীকে বাড়ি ফেরাতে
সব নিষ্প্রাণ শরীরে প্রান দিতে
সব আবর্জনা সরিয়ে দিতে।
সে যে বড় অসহায়।
সাগর কি বোঝে তার নিরুপযতা, অসহাযতা?

Friday, 12 August 2016

Jidegi

Jindegi Pol Pol inteha leti hay Jindegi se
Mout ki Kay intejer korna? 

Monday, 8 August 2016

নদীর কথা

নদীর কথা



নৌকায় আমি বেঁধেছি ঘর অকূল বরাবর
নৌকা আমার উঠোনবাডি তেল নুন সংসার
অপার নদী অপর কূলে মেঘবালিকা খেলা করে
এপারে থাকি একাকী আমি নৌকার ঘরদোরে
নৌকায় আজ সুজন মাঝি নৌকা চরাচর
জল উতরোল জলের ভেলায বেহুলা লক্খীন্দর
আমি থাকি নদীর ও পরে নৌকার ঘরদোরে
কুয়াশা ঘেরা জলধ জলে পাইনি খুঁজে তারে
পদ্মা মেঘনা পডশী হলেও একাকী বাস করে
গঙ্গা থাকে শিবের জটায বিন্দু সরোবরে
এপারে আমি নৌকার ঘরে শযনে স্বপনে কাঁদি
নৌকায় বাঁধি সমুদ্র শত নদীর পরতে নদী
তেপান্তর এর ঘাট ছুঁয়ে যায় গঙ্গা তীরে বাস
তীরেই জন্ম তীরেই মৃত্যু স্বপ্নে অভিলাষ
নৌকা আমার সোনায মোডা দিক বিদিকে পাল
বইছে এখন উতল হাওয়া একাত্তরের কাল

Saturday, 6 August 2016


Moment

Source: http://www.thefreshquotes.com/dr-seuss-quotes-theodor-seuss-geisel/only-you-can-control-your-future-dr-seuss/ Via:https://play.google.com/store/apps/details?id=com.quarterpi.picturequotes

Life 2

Thursday, 4 August 2016

আমার শৈশব ছিলো গাঁদা ও দোপাটি
প্রাণবন্ত দেশজ ও খাঁটি
আমার কৈশোর ছিলো
শিরীষ জারুল
স্বপ্ন সাদা অস্ফুট বেগুনি
থোকা থোকা কমলাংগ ফুল
প্রকান্ড গাছের মাথা বেঁকে
হাওয়ায় নাচতে এঁকেবেঁকে
ঝুরো ঝুরো ঝডতো বেভুল
কবে ফুলেদের সাথে হযে গেলো আডি
সইল না পাতাবাহারের বাড়াবাড়ি
এখন বাগানে কিছু পীতবর্ন ঘাস
বিবিক্ত ক্যাকটাস। 

Tuesday, 2 August 2016

দুঃখের কাঁথা কাজ করতে বসে
পরতে পরতে সূতোর টান দিয়ে
বুনে চলেছি শক্ত বুনোটে হস্তশিল্প র কারুকাজ
একটার পর একটা মিহি দুঃখ সাজিয়ে
তাঁত বুনেছি, বুনেছি, বুনেই চলেছি।
মসলিন মিহি দুঃখ গুলো সাজিয়ে চলেছি
নিপুন এক সমর্থ তাঁতীর মতো।
যার প্রতিটি পরতে পরতে লেগে আছে
সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম দুঃখের দানা।
অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসলে সাজিয়ে তুলবো

আমার দুঃখ গুলো।
মিহি সূতোয নিপুন বুনোনে ধরা থাকবে
আমার অভিমান, অসম্মান, অপমান সব।
এই ভাবে একদিন শেষ হলোআমার স্বপ্নের তাঁতবোনা।
যেদিন তুলে ধরলাম আমার পরিশ্রমের ফসল
অতি উৎসাহে দেখবো বলে
কিন্তু একি?
কি দেখছি আমি
আমার এতদিনের এতো শ্রমের ফসল
এভাবে
আশ্চর্য হলাম আমি
প্রতিটি বুনোনে ফুটে উঠেছে
ফুল, পাখি, শস্য শ্যামল মাঠ, নদী, পর্বত অরণ্য
এতো সুন্দর এ পৃথিবী
এখানে কোথাও ঐ সূক্ষ্ম দুঃখ গুলো খুঁজে পাচ্ছি না
সব দুঃখ রা অতি দুঃখিত হযে
হারিয়ে গেছে এই সৌন্দর্যের মোহময় মাখা পৃথিবীতে।
আমি ফিরে এলাম আবার সেই একই বৃত্তে।
যেখানে দুঃখের মাঝে ও সুখ লুকিয়ে আছে।
অবহেলায় গাঁথা ( ৩১ )
=================
মৃন্ময় ঘোষ
============
আচ্ছা ছড়া / কবিতা কি সবসময় সুন্দর বিষয় নিয়ে হওয়া খুব জরুরী :D যদি না হয় তবে কি গনধোলাইএর চান্স আছে :D

বাহ্য পেলে জোর সে
আমার পায়ের তলায় সরষে
বিষয় ভীষণ বিপদজনক
বিলম্বে কাম সার সে।

কোষ্ঠকঠিন সালতামামি
ইসবগুলের শিক্ষা দামী
যেসব দিনে প্রবল আবেগ
দৃপ্ত আমি, তৃপ্ত আমি।

যেসব দিনে প্রকোষ্ঠ সাফ
থাকে না আর আড়ষ্ট ভাব
সেসব দিনে ক্ষণে ক্ষনে
নাসিক্য সুর, বসন্ত রাগ।

মাছ ঢাকতে ঢালি নি শাক,
বন্ধুরা কি করেছে রাগ ....
--------------------------------  
সুপ্রিয়া চক্রবর্তী
==============
তোমার একার শুষ্ক কাষ্ঠ
ভেবনা কক্ষনো ,
অনেকেরই কাঠিন্যতে
ভুক্তভুগী জেনো ।
ইসবগুলের কৌটো উজাড়
ডজন থরে থরে ,
তবু ব্যাটার এমনই জেদ
থাকে নিজের ঘরে ।
ঘোমটা খুলে যেদিন বাহির
আগল খোলা ছাড়
তৃপ্ত মনে হাল্কা শরীর
হয়ইত সবার ।
নতুন কথা কি আর কোলে
আদি যুগের কথা ,
কোষ্ঠবদ্ধ আলিঙ্গনে
ভুক্তভুগীর ব্যাথা ।
হাল্কা শরীর কোন রাগিণী
নেকি সুরের গান ,
জানিনে ভাই তবে জানি
দিলখুশ আসমান ।

শাক দিয়ে তো মাছ ঢাকনি
দিল দিয়েছ আড়াল টানি ?
ভোরের ও হাওয়ায় এলে
ঘুম ভাঙ্গাতে কি
চুম হেনে নযন পাতে
ঝিরিঝিরি তিরিতিরি
গুন্ঠিত হাওয়া
কুনন্ঠিতারে শোনাতে। 

Monday, 1 August 2016

শুভ 
শুভ রাত্রি 
আমার ও পরান যাহা চায়
তুমি তাই, তুমি তাই গো
তুমি সুখ যদি নাহি পাও
যাও সুখের সন্ধানে যাও
আমি তোমারে পেয়েছি হৃহৃদয় মাঝে
আর কিছু নাহি চাই গো। 
Ami jamini tumi sashi he
Vatihogogono majhe