Thursday, 20 April 2017

কবিতা নয় বোধ

@টুটুল

পুবের সূর্য উদয় থেকে পশ্চিমে চাঁদের দেখা পর্যন্ত
কর্মবিরতি নেই কোন
তারই মাঝে মন উড়ে যায়।
তাকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে আনার ব‍্যার্থ প্রচেষ্টা চালাই না।
মন চেয়ে দেখে অনেক দূরের কোন এক বৃদ্ধ দর্জিকে।
চোখে চশমা ,কুঁচকোন চামড়ায় ,কম্পিত হাতে
সেলাই মেশিন চালায় একটানা।
ইব্রাহিম চাচা, দর্জি, বিখ‍্যাত নামী দোকানের কর্মচারী মাত্র।
যুবক বয়স থেকেই ব্লাউজ বানানোতে সুদক্ষ।
পঁচিশের সুদর্শন যুবক তখন ,আমি পনেরো কি ষোল।
তখনও দেখেছি তাকে ,সুনিপুন মাপে ফিতে হাতে।
চাচার ফিতের মাপে আর আঙ্গুলের ফাঁকে যোজন দূরত্ব
সেমিকোলন থাকে।
অথচ সুনিপুন মাপে ব্লাউজ তৈরী করে সে।
লজ্জায় অবনত হতে হয় না মেয়েদের
কুঁকড়ে আসেনা শরীর।
তার মাপের ফিতেই আর আঙুলের ফাঁকে নির্দ্ধিধায়
ঋজুভঙ্গিতে থাকে নারীর সম্মান।
একচুল ও মাপে ভুল হয়না ,নারীর শ্লীলতাও থাকে অক্ষত।
মুসলমান ঐ চাচা ,আজ ও বাঁচিয়ে চলেছে
মাপের ফিতের সাথে বাধ‍্য আঙুলের রেখা।
আর ঐ কালীকাটরার কেষ্টকাকা
অন্ধকার গলির স‍্যঁতস‍্যাঁতে দোকানে টিমটিমে আলোয়
বিপনন সাজিয়ে বসে রোজ।
অন্তর্বাসের দোকানে কুলুঙ্গীতে লক্ষী গনেশের ছবি।
সেই গলিতেও নির্দ্ধিধায় যায় মেয়েরা।
নির্বিকার মুখে অন্তর্বাসের প‍্যাকেট নামিয়ে আনে
বলে চলে ,কত সাইজ,কি রঙ কোন কোম্পানি?
না , সেখানেও শ্লীলতা হানি হয়নি কখোনো।
সে দোকানে বৃদ্ধ কেষ্টকাকা এখনো ও বিক্রি করে চলেছে
সাদা কালো লাল গেরুয়া বিভিন্ন রঙের অন্তর্বাস।
অন্ধকার ছায়া ছায়া গলির টিমটিমে আলোর দোকান
হিন্দু ঐ কাকা যুবক বয়স থেকে বৃদ্ধ হলেন
মস্তিষ্কের কোষে গেঁথে নিয়েছেন নারী র সম্মান বোধ।
ফিচেল হাসি, ফিচকে কথা কানে আসেনি ক্রেতাদের।
মহিলা ক্রেতা আর কাকার আঙুলের ব‍্যাবধানে বিনিময় হয়েছে
ন‍্যায‍্য মূল্য আর অন্তর্বাসের প‍্যাকেট।
এরা কেউ হিন্দু, কেউ মুসলমান ,কেউ বৌদ্ধ কেউ জৈন
এদের শতেক দায়,কর্মবিচ‍্যুতি দিয়ে শ্লীলতাহানির সময় নেই।
আজও তাই ইব্রাহিম চাচার মেশিন চলে
খটখট খটখট
আজও কেষ্টকাকা র দোকানে হুমড়ি খায় মেয়ের দল।
এদের পেটে আছে অসংখ্য ভাঁজ
খিদের ভাঁজ, সম্মানের ভাঁজ, রোজগারের ভাঁজ।
এদের হয়তো শিক্ষাগত মান, পরিবেশ , কিচ্ছু নেই।
এদের মাথার ভেতর আছে বেঁচে থাকার ইচ্ছা।
নারী নিয়ে কারবারি হয়েও তাইমাথার বোধে ভরে নেয়
যোজন দূরত্বের সেমিকোলন।
বাঁচিয়ে চলে নারীর সম্মান,বাধ‍্য করেছে নিজেদের আঙুল
এরাই আমার দেশবাসী, এরাই ভারতবর্ষ।।।

Tuesday, 18 April 2017

কবিতা নয় বোধ

@টুটুল

পুবের সূর্য উদয় থেকে পশ্চিমে চাঁদের দেখা পর্যন্ত
কর্মবিরতি নেই কোন
তারই মাঝে মন উড়ে যায়।
তাকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে আনার ব‍্যার্থ প্রচেষ্টা চালাই না।
মন চেয়ে দেখে অনেক দূরের কোন এক বৃদ্ধ দর্জিকে।
চোখে চশমা ,কুঁচকোন চামড়ায় ,কম্পিত হাতে
সেলাই মেশিন চালায় একটানা।
ইব্রাহিম চাচা, দর্জি, বিখ‍্যাত নামী দোকানের কর্মচারী মাত্র।
যুবক বয়স থেকেই ব্লাউজ বানানোতে সুদক্ষ।
পঁচিশের সুদর্শন যুবক তখন ,আমি পনেরো কি ষোল।
তখনও দেখেছি তাকে ,সুনিপুন মাপে ফিতে হাতে।
চাচার ফিতের মাপে আর আঙ্গুলের ফাঁকে যোজন দূরত্ব
সেমিকোলন থাকে।
অথচ সুনিপুন মাপে ব্লাউজ তৈরী করে সে।
লজ্জায় অবনত হতে হয় না মেয়েদের
কুঁকড়ে আসেনা শরীর।
তার মাপের ফিতেই আর আঙুলের ফাঁকে নির্দ্ধিধায়
ঋজুভঙ্গিতে থাকে নারীর সম্মান।
একচুল ও মাপে ভুল হয়না ,নারীর শ্লীলতাও থাকে অক্ষত।
মুসলমান ঐ চাচা ,আজ ও বাঁচিয়ে চলেছে
মাপের ফিতের সাথে বাধ‍্য আঙুলের রেখা।
আর ঐ কালীকাটরার কেষ্টকাকা
অন্ধকার গলির স‍্যঁতস‍্যাঁতে দোকানে টিমটিমে আলোয়
বিপনন সাজিয়ে বসে রোজ।
অন্তর্বাসের দোকানে কুলুঙ্গীতে লক্ষী গনেশের ছবি।
সেই গলিতেও নির্দ্ধিধায় যায় মেয়েরা।
নির্বিকার মুখে অন্তর্বাসের প‍্যাকেট নামিয়ে আনে
বলে চলে ,কত সাইজ,কি রঙ কোন কোম্পানি?
না , সেখানেও শ্লীলতা হানি হয়নি কখোনো।
সে দোকানে বৃদ্ধ কেষ্টকাকা এখনো ও বিক্রি করে চলেছে
সাদা কালো লাল গেরুয়া বিভিন্ন রঙের অন্তর্বাস।
অন্ধকার ছায়া ছায়া গলির টিমটিমে আলোর দোকান
হিন্দু ঐ কাকা যুবক বয়স থেকে বৃদ্ধ হলেন
মস্তিষ্কের কোষে গেঁথে নিয়েছেন নারী র সম্মান বোধ।
ফিচেল হাসি, ফিচকে কথা কানে আসেনি ক্রেতাদের।
মহিলা ক্রেতা আর কাকার আঙুলের ব‍্যাবধানে বিনিময় হয়েছে
ন‍্যায‍্য মূল্য আর অন্তর্বাসের প‍্যাকেট।
এরা কেউ হিন্দু, কেউ মুসলমান ,কেউ বৌদ্ধ কেউ জৈন
এদের শতেক দায়,কর্মবিচ‍্যুতি দিয়ে শ্লীলতাহানির সময় নেই।
আজও তাই ইব্রাহিম চাচার মেশিন চলে
খটখট খটখট
আজও কেষ্টকাকা র দোকানে হুমড়ি খায় মেয়ের দল।
এদের পেটে আছে অসংখ্য ভাঁজ
খিদের ভাঁজ, সম্মানের ভাঁজ, রোজগারের ভাঁজ।
এদের হয়তো শিক্ষাগত মান, পরিবেশ , কিচ্ছু নেই।
এদের মাথার ভেতর আছে বেঁচে থাকার ইচ্ছা।
নারী নিয়ে কারবারি হয়েও তাইমাথার বোধে ভরে নেয়
যোজন দূরত্বের সেমিকোলন।
বাঁচিয়ে চলে নারীর সম্মান,বাধ‍্য করেছে নিজেদের আঙুল
এরাই আমার দেশবাসী, এরাই ভারতবর্ষ।।।

কবিতা নয় বোধ

@টুটুল

পুবের সূর্য উদয় থেকে পশ্চিমে চাঁদের দেখা পর্যন্ত
কর্মবিরতি নেই কোন
তারই মাঝে মন উড়ে যায়।
তাকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে আনার ব‍্যার্থ প্রচেষ্টা চালাই না।
মন চেয়ে দেখে অনেক দূরের কোন এক বৃদ্ধ দর্জিকে।
চোখে চশমা ,কুঁচকোন চামড়ায় ,কম্পিত হাতে
সেলাই মেশিন চালায় একটানা।
ইব্রাহিম চাচা, দর্জি, বিখ‍্যাত নামী দোকানের কর্মচারী মাত্র।
যুবক বয়স থেকেই ব্লাউজ বানানোতে সুদক্ষ।
পঁচিশের সুদর্শন যুবক তখন ,আমি পনেরো কি ষোল।
তখনও দেখেছি তাকে ,সুনিপুন মাপে ফিতে হাতে।
চাচার ফিতের মাপে আর আঙ্গুলের ফাঁকে যোজন দূরত্ব
সেমিকোলন থাকে।
অথচ সুনিপুন মাপে ব্লাউজ তৈরী করে সে।
লজ্জায় অবনত হতে হয় না মেয়েদের
কুঁকড়ে আসেনা শরীর।
তার মাপের ফিতেই আর আঙুলের ফাঁকে নির্দ্ধিধায়
ঋজুভঙ্গিতে থাকে নারীর সম্মান।
একচুল ও মাপে ভুল হয়না ,নারীর শ্লীলতাও থাকে অক্ষত।
মুসলমান ঐ চাচা ,আজ ও বাঁচিয়ে চলেছে
মাপের ফিতের সাথে বাধ‍্য আঙুলের রেখা।
আর ঐ কালীকাটরার কেষ্টকাকা
অন্ধকার গলির স‍্যঁতস‍্যাঁতে দোকানে টিমটিমে আলোয়
বিপনন সাজিয়ে বসে রোজ।
অন্তর্বাসের দোকানে কুলুঙ্গীতে লক্ষী গনেশের ছবি।
সেই গলিতেও নির্দ্ধিধায় যায় মেয়েরা।
নির্বিকার মুখে অন্তর্বাসের প‍্যাকেট নামিয়ে আনে
বলে চলে ,কত সাইজ,কি রঙ কোন কোম্পানি?
না , সেখানেও শ্লীলতা হানি হয়নি কখোনো।
সে দোকানে বৃদ্ধ কেষ্টকাকা এখনো ও বিক্রি করে চলেছে
সাদা কালো লাল গেরুয়া বিভিন্ন রঙের অন্তর্বাস।
অন্ধকার ছায়া ছায়া গলির টিমটিমে আলোর দোকান
হিন্দু ঐ কাকা যুবক বয়স থেকে বৃদ্ধ হলেন
মস্তিষ্কের কোষে গেঁথে নিয়েছেন নারী র সম্মান বোধ।
ফিচেল হাসি, ফিচকে কথা কানে আসেনি ক্রেতাদের।
মহিলা ক্রেতা আর কাকার আঙুলের ব‍্যাবধানে বিনিময় হয়েছে
ন‍্যায‍্য মূল্য আর অন্তর্বাসের প‍্যাকেট।
এরা কেউ হিন্দু, কেউ মুসলমান ,কেউ বৌদ্ধ কেউ জৈন
এদের শতেক দায়,কর্মবিচ‍্যুতি দিয়ে শ্লীলতাহানির সময় নেই।
আজও তাই ইব্রাহিম চাচার মেশিন চলে
খটখট খটখট
আজও কেষ্টকাকা র দোকানে হুমড়ি খায় মেয়ের দল।
এদের পেটে আছে অসংখ্য ভাঁজ
খিদের ভাঁজ, সম্মানের ভাঁজ, রোজগারের ভাঁজ।
এদের হয়তো শিক্ষাগত মান, পরিবেশ , কিচ্ছু নেই।
এদের মাথার ভেতর আছে বেঁচে থাকার ইচ্ছা।
নারী নিয়ে কারবারি হয়েও তাইমাথার বোধে ভরে নেয়
যোজন দূরত্বের সেমিকোলন।
বাঁচিয়ে চলে নারীর সম্মান,বাধ‍্য করেছে নিজেদের আঙুল
এরাই আমার দেশবাসী, এরাই ভারতবর্ষ।।।

কবিতা নয় বোধ

@টুটুল

পুবের সূর্য উদয় থেকে পশ্চিমে চাঁদের দেখা পর্যন্ত
কর্মবিরতি নেই কোন
তারই মাঝে মন উড়ে যায়।
তাকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে আনার ব‍্যার্থ প্রচেষ্টা চালাই না।
মন চেয়ে দেখে অনেক দূরের কোন এক বৃদ্ধ দর্জিকে।
চোখে চশমা ,কুঁচকোন চামড়ায় ,কম্পিত হাতে
সেলাই মেশিন চালায় একটানা।
ইব্রাহিম চাচা, দর্জি, বিখ‍্যাত নামী দোকানের কর্মচারী মাত্র।
যুবক বয়স থেকেই ব্লাউজ বানানোতে সুদক্ষ।
পঁচিশের সুদর্শন যুবক তখন ,আমি পনেরো কি ষোল।
তখনও দেখেছি তাকে ,সুনিপুন মাপে ফিতে হাতে।
চাচার ফিতের মাপে আর আঙ্গুলের ফাঁকে যোজন দূরত্ব
সেমিকোলন থাকে।
অথচ সুনিপুন মাপে ব্লাউজ তৈরী করে সে।
লজ্জায় অবনত হতে হয় না মেয়েদের
কুঁকড়ে আসেনা শরীর।
তার মাপের ফিতেই আর আঙুলের ফাঁকে নির্দ্ধিধায়
ঋজুভঙ্গিতে থাকে নারীর সম্মান।
একচুল ও মাপে ভুল হয়না ,নারীর শ্লীলতাও থাকে অক্ষত।
মুসলমান ঐ চাচা ,আজ ও বাঁচিয়ে চলেছে
মাপের ফিতের সাথে বাধ‍্য আঙুলের রেখা।
আর ঐ কালীকাটরার কেষ্টকাকা
অন্ধকার গলির স‍্যঁতস‍্যাঁতে দোকানে টিমটিমে আলোয়
বিপনন সাজিয়ে বসে রোজ।
অন্তর্বাসের দোকানে কুলুঙ্গীতে লক্ষী গনেশের ছবি।
সেই গলিতেও নির্দ্ধিধায় যায় মেয়েরা।
নির্বিকার মুখে অন্তর্বাসের প‍্যাকেট নামিয়ে আনে
বলে চলে ,কত সাইজ,কি রঙ কোন কোম্পানি?
না , সেখানেও শ্লীলতা হানি হয়নি কখোনো।
সে দোকানে বৃদ্ধ কেষ্টকাকা এখনো ও বিক্রি করে চলেছে
সাদা কালো লাল গেরুয়া বিভিন্ন রঙের অন্তর্বাস।
অন্ধকার ছায়া ছায়া গলির টিমটিমে আলোর দোকান
হিন্দু ঐ কাকা যুবক বয়স থেকে বৃদ্ধ হলেন
মস্তিষ্কের কোষে গেঁথে নিয়েছেন নারী র সম্মান বোধ।
ফিচেল হাসি, ফিচকে কথা কানে আসেনি ক্রেতাদের।
মহিলা ক্রেতা আর কাকার আঙুলের ব‍্যাবধানে বিনিময় হয়েছে
ন‍্যায‍্য মূল্য আর অন্তর্বাসের প‍্যাকেট।
এরা কেউ হিন্দু, কেউ মুসলমান ,কেউ বৌদ্ধ কেউ জৈন
এদের শতেক দায়,কর্মবিচ‍্যুতি দিয়ে শ্লীলতাহানির সময় নেই।
আজও তাই ইব্রাহিম চাচার মেশিন চলে
খটখট খটখট
আজও কেষ্টকাকা র দোকানে হুমড়ি খায় মেয়ের দল।
এদের পেটে আছে অসংখ্য ভাঁজ
খিদের ভাঁজ, সম্মানের ভাঁজ, রোজগারের ভাঁজ।
এদের হয়তো শিক্ষাগত মান, পরিবেশ , কিচ্ছু নেই।
এদের মাথার ভেতর আছে বেঁচে থাকার ইচ্ছা।
নারী নিয়ে কারবারি হয়েও তাইমাথার বোধে ভরে নেয়
যোজন দূরত্বের সেমিকোলন।
বাঁচিয়ে চলে নারীর সম্মান,বাধ‍্য করেছে নিজেদের আঙুল
এরাই আমার দেশবাসী, এরাই ভারতবর্ষ।।।

কবিতা নয় বোধ

@টুটুল

পুবের সূর্য উদয় থেকে পশ্চিমে চাঁদের দেখা পর্যন্ত
কর্মবিরতি নেই কোন
তারই মাঝে মন উড়ে যায়।
তাকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে আনার ব‍্যার্থ প্রচেষ্টা চালাই না।
মন চেয়ে দেখে অনেক দূরের কোন এক বৃদ্ধ দর্জিকে।
চোখে চশমা ,কুঁচকোন চামড়ায় ,কম্পিত হাতে
সেলাই মেশিন চালায় একটানা।
ইব্রাহিম চাচা, দর্জি, বিখ‍্যাত নামী দোকানের কর্মচারী মাত্র।
যুবক বয়স থেকেই ব্লাউজ বানানোতে সুদক্ষ।
পঁচিশের সুদর্শন যুবক তখন ,আমি পনেরো কি ষোল।
তখনও দেখেছি তাকে ,সুনিপুন মাপে ফিতে হাতে।
চাচার ফিতের মাপে আর আঙ্গুলের ফাঁকে যোজন দূরত্ব
সেমিকোলন থাকে।
অথচ সুনিপুন মাপে ব্লাউজ তৈরী করে সে।
লজ্জায় অবনত হতে হয় না মেয়েদের
কুঁকড়ে আসেনা শরীর।
তার মাপের ফিতেই আর আঙুলের ফাঁকে নির্দ্ধিধায়
ঋজুভঙ্গিতে থাকে নারীর সম্মান।
একচুল ও মাপে ভুল হয়না ,নারীর শ্লীলতাও থাকে অক্ষত।
মুসলমান ঐ চাচা ,আজ ও বাঁচিয়ে চলেছে
মাপের ফিতের সাথে বাধ‍্য আঙুলের রেখা।
আর ঐ কালীকাটরার কেষ্টকাকা
অন্ধকার গলির স‍্যঁতস‍্যাঁতে দোকানে টিমটিমে আলোয়
বিপনন সাজিয়ে বসে রোজ।
অন্তর্বাসের দোকানে কুলুঙ্গীতে লক্ষী গনেশের ছবি।
সেই গলিতেও নির্দ্ধিধায় যায় মেয়েরা।
নির্বিকার মুখে অন্তর্বাসের প‍্যাকেট নামিয়ে আনে
বলে চলে ,কত সাইজ,কি রঙ কোন কোম্পানি?
না , সেখানেও শ্লীলতা হানি হয়নি কখোনো।
সে দোকানে বৃদ্ধ কেষ্টকাকা এখনো ও বিক্রি করে চলেছে
সাদা কালো লাল গেরুয়া বিভিন্ন রঙের অন্তর্বাস।
অন্ধকার ছায়া ছায়া গলির টিমটিমে আলোর দোকান
হিন্দু ঐ কাকা যুবক বয়স থেকে বৃদ্ধ হলেন
মস্তিষ্কের কোষে গেঁথে নিয়েছেন নারী র সম্মান বোধ।
ফিচেল হাসি, ফিচকে কথা কানে আসেনি ক্রেতাদের।
মহিলা ক্রেতা আর কাকার আঙুলের ব‍্যাবধানে বিনিময় হয়েছে
ন‍্যায‍্য মূল্য আর অন্তর্বাসের প‍্যাকেট।
এরা কেউ হিন্দু, কেউ মুসলমান ,কেউ বৌদ্ধ কেউ জৈন
এদের শতেক দায়,কর্মবিচ‍্যুতি দিয়ে শ্লীলতাহানির সময় নেই।
আজও তাই ইব্রাহিম চাচার মেশিন চলে
খটখট খটখট
আজও কেষ্টকাকা র দোকানে হুমড়ি খায় মেয়ের দল।
এদের পেটে আছে অসংখ্য ভাঁজ
খিদের ভাঁজ, সম্মানের ভাঁজ, রোজগারের ভাঁজ।
এদের হয়তো শিক্ষাগত মান, পরিবেশ , কিচ্ছু নেই।
এদের মাথার ভেতর আছে বেঁচে থাকার ইচ্ছা।
নারী নিয়ে কারবারি হয়েও তাইমাথার বোধে ভরে নেয়
যোজন দূরত্বের সেমিকোলন।
বাঁচিয়ে চলে নারীর সম্মান,বাধ‍্য করেছে নিজেদের আঙুল
এরাই আমার দেশবাসী, এরাই ভারতবর্ষ।।।

Tuesday, 4 April 2017

শহরের পথ
টুটুল চ্যাটার্জী

কুকুরের হাইতোলা দেখতে দেখতে যাদের রাত পার হয়ে যায়
ধূলোয় শোওয়া তাদের জন্য কতটা পূর্ণিমা ধরে রাখে চাঁদ?
কতটা গভীর জলে স্নান করে চুলের বিন্দু বিন্দু জলরাশি
ছড়িয়ে দেয় তাদের প্রেমিকারা।
হাত বাড়ালেই হাত ঠেকে যায় কুকুরের গায়।
কাঁথা মুড়ি দেয় ক্লান্ত শরীরে আপন খেয়ালে
কুকুর কন্ঠলগ্নী করে।
রাস্তায় যদি যাই একদিন রাত্রি অবসরে
ফুটপাত ডেকে নেবে আদরের অছিলায়
কলম চলবে চিরাচরিত শ্লোগানের প্রথায়।
কাকেদের ঘুম ভাঙার আগে জেগে উঠে যারা
দু মুঠো মুড়ির লোভে তাদের বাচ্চারা
হামা টানে শহর জোড়া উঠোনে।
পাশ দিয়ে ভোরের বার্তা ফেরি করে প্রথম কাগজ ওয়ালা।
তাজা খবর প্রতি দোরগোড়ায়
ধোঁয়া ওঠা চা বেচে সেই লোকটা তাকে তুমি চেনো না
যে আজ সকালে উঠেছে কুকুরের মুখ দেখে।